জিএসটি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এবার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং বিভিন্ন জিনিসের উপর থেকে করের হার কমালো জিএসটি কাউন্সিল৷
সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের উপর জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল৷ শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪ তম বৈঠকে করোনার ভ্যাকসিনের উপরে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়৷ যদিও করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় হেপারিন, রেমডেসিভিরের মতো ওষুধের ক্ষেত্রে জিএসটি-র হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷
মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ মেশিনের উপরেও জিএসটি-র হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ এর ফলে সস্তা হচ্ছে ভেন্টিলেটর, পাল্স অক্সিমিটার, মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ বিভিন্ন জিনিশপত্র৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷
শুধু এটিই নয় করোনা পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় কিটের উপরেও করের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি-র হার কমিয়ে ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে৷
এ ছাড়াও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত টোসিলিজুমাব, অ্যাম্ফোটেরিসিন বি- এর মতো ওষুধের উপর থেকে কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল৷

0 Comments: